সালিশি সভায় নির্যাতিতা সহ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও পরিবারের লোকজনদের মারধোরের অভিযোগ উঠল গৃহবধুর শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটায় ১ নম্বর ব্লকের আটিয়াবাড়ী এলাকায়। মারধোরের ফলে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শুভ সাহা ও নির্যাতিতা পিংকি দেবনাথ সহ পাঁচজন প্রচন্ড আহত অবস্থায় দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে রয়ে বলে জানা গিয়েছে।মারধোর করার অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যেই গৃহবধুর শ্বশুর মন্টু দেবনাথকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে দিনহাটায় ১ নম্বর ব্লকের আটিয়াবাড়ী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্টু দেবনাথের ছেলে রিন্টু দেবনাথের সঙ্গে পিংকি দেবনাথের বিয়ে হয়। রিন্টু দেবনাথ সেনাবাহিনীর কর্মী। ইতিমধ্যেই পিংকি দেবনাথ দুই সন্তানের জননী।বেশ কিছুদিন ধরেই পিংকি দেবীর সঙ্গে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের মতবিরোধের সৃষ্টি হয়। পিংকি দেবনাথ তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে বাবার বাড়িতে যেতে বাধ্য হয়। বিষয়টি মিটমাট করতে এদিন দুপুরে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শুভ সাহার মধ্যস্থতায় একটি সালিশি সভা বসে।সেই সভায় পিংকি দেবীর শ্বশুর বাড়ির লোকজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য এবং গৃহবধূ পিংকির উপর চড়াও হয়। ঘটনার কথা জানতে পেয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির লোকজন সেখানে এলে তাদের উপরেও মারধর শুরু করে বাড়ির লোকজন। ওই ঘটনার কথা এলাকায় প্রচার হতেই আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং উভয়পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে দিনহাটা থানার পুলিশ ঘটনার স্থলে ছুটে যায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই ঘটনায় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য এবং গৃহবধূ পিঙ্কি দেবনাথ সহ পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। তাদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং পিংকির শ্বশুর মন্টু দেবনাথকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় এলাকায় প্রচন্ড উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।