রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক তথ্য, নাম জড়িয়েছে একাধিকের। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে টানা দু’মাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল নগর দায়রা আদালত। এদিনের শুনানিতে মানিককে ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী’ বলে উল্লেখ করে জামিনের বিরোধিতা করেছিল ইডি। সেই প্রেক্ষিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৮ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকবেন মানিক।
তাঁর মামলার শুনানিতে খোদ মানিক ভট্টাচার্য বিচারককে কিছু বলতে চান। কিন্তু বিচারক জানান, আদালতে আবেদনকারীর আইনজীবী থাকলে তিনি নিজে কথা বলতে পারেন না। কিন্তু এই কথা সেইভাবে পাত্তা দেননি মানিক। তিনি আবারও কিছু বলার চেষ্টা করেন। সেই সময় বিচারক কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েই বলেন, ল কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল হয়তো আদালতের নিয়ম সম্পর্কে অবগত নন। তিনি আদালতের ডেকোরাম জানেন না। ইডির আইনজীবী মানিকের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, উনি এতটাই প্রভাবশালী যে দল থেকে তাঁকে বহিষ্কারও করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর দলের প্রাক্তন নেতা কুন্তল ঘোষকে প্রায় দেড় মাস পর এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৬ দিন পর বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস দল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল কিংবা মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি তারা। এই নিয়ে আলাদাভাবে চর্চা চলছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে।