রোগীদের থেকে অনৈতিকভাবে বেশি টাকা নেওয়া , রোগীর পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, এ ধরনের একাধিক অভিযোগ তো ছিলই। হাসপাতালের সুপারকেই বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল আয়াদের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতি হল, যে সুপারকে উদ্ধার করতে হাসপাতালে যেতে হল পুলিশকে। তাঁকে বাঁচাতে নার্সদের হস্টেলে রাখল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, আয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ছিল। বুধবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ হাসপাতাল সুপার পরিতোষ মণ্ডল ওয়ার্ডে ঢুকে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই সমস্ত আয়া কর্মীদের বের করে দিতে যান। সে সময়েই হাসপাতালের আয়ারা সুপারকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁর ওপর চড়াও হন। পড়ে কিল-চড়-ঘুষি। সুপারকে আক্রান্ত হতে দেখে হাসপাতালের কর্মীরা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুপারকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালের নার্সিং ট্রেনিংয়ের ছাত্রী আবাসে রাখেন। রাত দুটো পর্যন্ত চলে এই উত্তেজনা।
সুপার পরিতোষ মন্ডল বলেন, “হাসপাতালে আয়াদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।রোগীদের পরিবারের কাছ থেকে আয়ারা টাকা নেয়। আজ আমার অফিসে তালা মারে।এদিন ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম,আয়াদের বের করে দিতে। আমাকে গালিগালাজ করে।মারধর করে।” আবার কংগ্রেস সভাপতি শান্তুনু দেবনাথ এই ঘটনায় বলেন, “আমরা হাসপাতালে গিয়ে দেখি, আয়াদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন সুপার। আমাদের ধাক্কা ধাক্কি করে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সুপার রয়েছেন।” সুপারের অপসারণের দাবি তুলেছেন তিনি।