অরুণাচল প্রদেশে উদ্বোধন হল বিমানবন্দরের

বরাবরই তিক্ততার সম্পর্ক চীন ও ভারতের। পূর্ব লাদাখের পাশাপাশি অরুণাচল সীমান্তেও চিনের লালফৌজের উস্কানি অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে দ্রুততার সঙ্গে অরুণাচল প্রদেশে যেভাবে আরও একটি বিমানবন্দরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তা একেবারেই খুশি করবে না চিনকে। স্বাভাবিকভাবেই যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নতি হল অরুণাচল প্রদেশে। অরুণাচল প্রদেশে প্রথম গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর ‘দোন্যি পোলো’র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

রাজধানী ইটানগর থেকে এর দূরত্ব কুড়ি কিলোমিটারের মতো। এর আগে ইটানগরের নিকটতম বিমানবন্দর ছিল অসমের লীলাবাড়ি বিমানবন্দর। তাই এই বিমানবন্দর উদ্বোধন হওয়ায় অরুণাচল প্রদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় কার্যত দিগন্ত খুলে গেল বলে সকলে মনে করছেন। যাত্রিবাহী বিমানের পাশাপাশি এই রানওয়েতে যুদ্ধবিমানও ওঠানামা করতে পারবে। আর তাতেই ঘুম ছুটেছে চিনের।

বহুদিন ধরেই অরুণাচল সীমান্তে উস্কানি বজায় রেখেছে চিন। ভারত সেদিকে সতর্ক নজর রেখে চলেছে। তাই অরুণাচল লাগোয়া চিন সীমান্তে যাতে সেনাবাহিনী ও যুদ্ধের ট্যাঙ্ক দ্রুত পৌঁছে যেতে পারে, সেজন্য সেখানে তৈরি হচ্ছে সড়ক পথ। এর আগে মণিপুর লাগোয়া মায়ানমার সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত রেলপথ পৌঁছে গিয়েছে। এবার অরুণাচলে যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নতি ঘটল। তিন বছর আগে অরুনণাচলের ইটানগরের ফলঙ্গিতে এই বিমানবন্দরের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দ্রুততার সঙ্গে যেভাবে এই বিমানবন্দর তৈরি করা হয়েছে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।