রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক নাম। এবার এই মামলা নিয়ে বিতর্কের মাঝেই অপসারিত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষক ও কর্মী নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। কল্যাণের নাম নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তৈরি প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের কমিটিও তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়। সিবিআই গোয়েন্দারাও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। এখন তাঁকে অপসারিত করল নবান্ন।
জানা গিয়েছে, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের পদে নিযুক্ত হয়েছেন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ছিলেন। আগামী এক বছরের জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থাকবেন তিনি। আগে কল্যাণময় ২০১৬ সাল থেকে পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। তবে কিছুদিন ধরেই অনুমান করা হচ্ছিল যে তাঁর মেয়াদ বাড়বে না। কিন্তু অপসারিত হবে তিনি সেটাও হয়তো আন্দাজ করা যায়নি। তবে শেষে তাইই হল। গ্রুপ ডি মামলায় রিপোর্ট পেশ করে বাগ কমিটি আদালতে জানিয়েছিল যে, ৬০৯ টি ভুয়ো সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুসারে, সুপারিশ পত্রের হিসাব রাখার জন্য আলাদা রেজিস্ট্রার ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যানকে না জানিয়েই এই সুপারিশ পত্র দেওয়া হত। এই নিয়োগপত্র গুলি পর্ষদের অফিস থেকে না দিয়ে এসএসসির নবনির্মিত ভবন থেকে দেওয়া হয়েছে।