একের পর এক দুর্নীতি কাণ্ডে জর্জরিত গোটা রাজ্য৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলায় জেলায় তন্ন তন্ন করে খোঁজ শুরু করেছে ইডি। এরই মধ্যে গুরুপাচার কাণ্ডে বুধবার ইডির একটি দল হানা দেয় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এবং এক নেতার বাড়িতে।
দিনভর বীরভূমের নানা জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই-ও৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে বীরভূমের সিউড়িতে পাথর ব্যবসায়ী টুডু মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা। ইডির অপর একটি দল পৌঁছে যায় বাসাপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে।
ওই বাড়ির মালিক আবার বীরভূম জেলা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান। তাঁরা দু’জনই অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার ১৭ লক্ষ টাকা৷ তাছাড়াও কিছু পেন ড্রাইভ এবং হার্ড ডিস্কও বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারী অফিসাররা৷
সিবিআই-এর এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘বীরভূম, কলকাতা মিলিয়ে মোট ১৩টি জায়গায় গতকাল তল্লাশি চালানো হয়েছে৷ তল্লাশি চালিয়ে মোট ১০টি মোবাইল, পেন ড্রাইভ, হার্ড ডিস্ক, বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক নথি এবং লকারের চাবি সহ প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে, তদন্ত চলছে।’
সিবিআই সূত্রে খবর, বুধবার সিউড়ির সাজানো পল্লী এবং পাইকপাড়ায় দুটি বাড়িতে তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন অফিসাররা। ইতিমধ্যে কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই-এর নজরে রয়েছেন অনুব্রত৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতার দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে।
ইলামবাজার-সহ বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় সায়গলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস মিলেছে৷ সূত্রের খবর, এই সায়গলকে জেরা করেই উঠে আসে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ টুডু ও কেরিমের নাম। সায়গলের ব্যবসা দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন এই টুডু মণ্ডল৷ অন্য দিকে, তাঁদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে জড়িত পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল। সেই সূত্র ধরেই এদিন ইডি ওই দুই বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বলে খবর৷ তল্লাশি চালানো হয় অন্যান্য জায়গাতেও৷