আগামী মাসেই হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে ওই পদে পদপ্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এনডিএ’র দ্রৌপদী মুর্মু। আর মনোনয়ন জমা দিয়েই তিনি বিরোধীদের সমর্থন চেয়ে ফোন করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে।
এছাড়াও বিরোধী দলের একাধিক নেতাকে ফোন করে সমর্থন চেয়েছেন দ্রৌপদী। অনেকের মত, সরকারপক্ষের এটা মস্ত বড় চাল, মানসিক দিক থেকে বিরোধীদের চাপে রাখার কৌশল। কিন্তু এই ঘটনার পাল্টা দিলেন বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাও। মোদী সহ একাধিক শীর্ষ বিজেপি নেতাদের ফোন তিনিও করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রে খবর, এদিন যশবন্ত সিনহা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবাণীকে ফোন করেন। যদিও মোদীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি বলে সূত্রের খবর। এদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে নিজের আগের মন্তব্যেই অনড় রয়েছেন যশবন্ত।
তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন নিয়ে ভয় পাচ্ছেন না। তবে এটাও মনে করছেন যে, এই নির্বাচনের পর হয়তো তাঁকে ইডি ডাকতে পারে। কারণ তাঁর অভিযোগ বিজেপি সরকার এমনিতেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে লাগিয়ে দিচ্ছে। যদিও তিনি নিজের জয়ের ব্যাপারে খুব আশাবাদী। আগেই দাবি করেছিলেন যে বিজেপির থেকেও তিনি ভোট পাবেন।
আসলে যশবন্ত সিনহার অনুমান, বিজেপির অনেক লোক দলের ওপর ক্ষুব্ধ আছেন। গোপন ব্যালটে যেহেতু ভোট হবে তাই বিজেপির একাংশের ভোটও তিনি পাবেন। যদিও এখনও পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান সামনে আসছে তাতে কার্যত তাঁর থেকে অনেকটাই এগিয়ে এনডিএ জোটের মনোনীত প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। ঝাড়খণ্ডের শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ছাড়াও বিজেডি, নীতীশ কুমারের জেডি ইউ তাঁকে সমর্থন করবে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে ওয়াইএসআর কংগ্রেস, বহুজন সমাজ পার্টি ও টিআরএস’কেও পাশে পাবে বলে আশা রাখছে বিজেপি।