রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল শিক্ষক কমিশনের স্ক্যানারে ৮০০-রও বেশি স্কুল শিক্ষক, বাতিল হওয়ার পথে রেকর্ড সংখ্যক স্কুল শিক্ষকের চাকরি৷ ২০১৬ সালে নবম-দশমে শিক্ষক পদে নিয়োগ পত্র পেয়েছিলেন তাঁরা সকলেই৷ বিধি প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হল আদালতকে৷ আগামী সপ্তাহেই দেওয়া হবে নোটিশ৷
পর্যায়ক্রমে সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে বলে জানালেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান৷ সার্ভার এবং ওএমআর শিটের নম্বরে বিস্তর ফারাক৷ ৫৩ পর্যন্ত নম্বর বাড়ানো হয়েছে৷ এই প্রথম স্কুল সার্ভিস কমিশন কবুল করে নিল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে৷ সেই দুর্নীতির জেরেই প্রায় ৮০০ শিক্ষককে আতস কাঁচের নীচে আনা হয়েছে৷ কমিশন জানাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে এই সম্পর্কিত নোটিশ দেওয়া হবে এসএসসি’র তরফে৷ এর পর ধাপে ধাপে অবৈধ চাকরিপ্রার্থীদের সুপারিশ পত্র বাতিল করা হবে৷ ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে এই নিয়োগপত্র বাতিল করা হবে৷
এই ৮০০ শিক্ষকের সার্ভার ও ওএমআর শিটের নম্বরে বিস্তর ফাকার ধরা পড়েছে৷ কারও কারও নম্বর ৫৩ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে৷ শূন্য পাওয়া প্রার্থীকে ৪৮ নম্বর দেওয়া হয়েছে, এমন উদাহরণও আগেই প্রকাশ্যে এসেছে৷ অবশেষে দুর্নীতির কথা কার্যত মেনে নিয়ে ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০০ জনের নিয়োগপত্র বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল৷