দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হওয়ার পরই নজরদারি বাড়ছে তার ওপর। আপত্তি থাকা সত্তেও হাই কোর্টের তরফে অনুমতি দেওয়া হয় তার বিদেশ যাত্রায়। চোখের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে বিদেশে যেতে পারবেন স্ত্রী রুজিরাও৷
ইডির শত আপত্তি সত্ত্বেও আদালত অভিষেকের এই বিদেশ যাত্রায় সায় দিয়েছে হাই কোর্ট। কিন্তু তাঁকে ‘একা’ ছাড়তে রাজি নয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার তৃণমূল সাংসদের ওপর ‘নজরদারি’ চালাতে আমিরশাহি সরকারকে চিঠি দিল ইডি। চিঠিতে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভারতে অভিষেকের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ আছে।
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুবাই যাত্রায় প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছিল ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ বা ইডি। তাঁদের যুক্তি ছিল, বিদেশে গিয়ে পলাতক বিনয় মিশ্রের সঙ্গে দেখা করতে পারেন অভিষেক৷ এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল সাংসদ। পরে এই মামলায় ইডির আপত্তি খারিজ করে অভিষেকের দুবাই যাত্রায় সম্মতি জানায় আদালত৷
কিন্তু হাল ছেড়ে দিচ্ছে ইডি। কয়লা ও গরুপাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গতিবিধির ওপর নজর রাখতেই তারা আমিরশাহী সরকারকে চিঠি দিয়েছে। কারণ এখনও তারা তাদের এই দাবিতেই অনড় যে, দুবাই বিনয় মিশ্রর সঙ্গেই দেখা করতে যাচ্ছেন অভিষেক। এই চিঠি লিখে দুবাই সরকারকে অনুরোধ জানান হয়েছে যাতে তারা অভিষেকের ওপর নজরদারি চালান।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ জুন পর্যন্ত অভিষেককে সস্ত্রীক দুবাইয়ে চিকিৎসা করানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বিদেশ যাওয়ার আগে অভিষেককে বিমানের টিকিট, হোটেলের নাম, ফোন নম্বর ও হাসপাতালের নাম ইডির কাছে জমা দিতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তৃণমূল সাংসদ অবশ্য সেই নির্দেশ মেনে সব তথ্য জমা দিয়েই গিয়েছেন।