আবারো তলব করা হতে পারে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ ইডি সূত্রে খবর কয়লা কাণ্ডে চলতি সপ্তাহের শেষে ফের দিল্লি তলব করা হতে পারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ অভিষেক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্কিত দু’টি সংস্থার আয়ের উৎস খুঁজতেই ফের ডেকে পাঠানো হবে তাঁকে৷ ইডি’র দাবি, ওই দুই সংস্থায় কোটি কোটি টাকা কী ভাবে জমা পড়ল তারই উৎস খুঁজছে ইডি৷ কোটি টাকার ‘উৎস নিয়ে বিশ্লেষণ’ চলছে। কয়লাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট -র তলবে দিল্লিতে হাজিরা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ টানা ৯ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে তাঁকে৷
জানা গিয়েছে, ৬ তারিখ এই দুই সংস্থার আর্থিক লেনদেন নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতিকে৷ কিন্তু তাঁর কাছ থেকে সদুত্তর মেলেনি বলেই ইডি সূত্রে দাবি৷ উল্লেখ্য, ৯ ঘণ্টা জেরার পর ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে হুঙ্কার দিয়েছিলেন অভিষেক৷ বলেছিলেন, ‘‘পারলে ১০ পয়সার লেনদেন প্রমাণ করুন৷ দুধ আর জল আলাদা হয়ে যাবে।’’ এদিকে, ইডি-র দাবি ওই দুই সংস্থার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের যোগ রয়েছে৷ একটি নির্মাণ সংস্থার মাধ্যমে ওই দুই সংস্থায় ৪.৩৭ কোটি টাকা জমা পড়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর৷ কী ভাবে এল এই টাকা? মনে করা হচ্ছে, ‘প্রোটেকশন মানি’ হিসাবে কয়লাকাণ্ডের অভিযুক্তরা এই টাকা দিয়ে থাকতে পারে৷ এই বিষয়ে অভিযোগের জবাবও সন্তোষজনক নয়৷ শুধু অভিষেক নয়, এই দুই সংস্থার অর্থনৈতিক উৎস জানতে ডাকা হতে পারে সংস্থার ডিরেক্টরদেরও৷
বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআই, ইডি-র এখন প্রধান লক্ষ্য, অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রকে ভারতে ফিরিয়ে আনা। তৃণমূলের যুব নেতা বিনয় অভিষেকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। কয়লা কাণ্ডের তদন্ত শুরু হতেই বিনয় দেশছাড়া। প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ভানাটু-র নাগরিকত্ব নিয়ে বিনয় সেখানেই আছেন বলে সিবিআই, ইডি-কর্তারা জানতে পেরেছেন। তাঁকে হাতের নাগালে পেলে কয়লা পাচারের সঙ্গে রাজ্যের ‘প্রভাবশালীদের’ যোগাযোগের আরও তথ্য পাবেন বলে ওই কর্তারা আশাবাদী।