এই মুহূর্তে একাধিক একাধিকতে জর্জরিত রাজ্যে, চলছে তদন্ত৷ শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলা ও গরুপাচার কাণ্ডের পর এবার কয়লা পাচার-কাণ্ডেও তৎপর ইডি ও সিবিআই৷ কয়লা পাচার-কাণ্ডে শুক্রবার সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)-এর দফতর হাজিরা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে ইডি দফতর৷ কয়লা পাচার কাণ্ডে তাঁকে যে ফের তলব করা হতে পারে সেই আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক৷ কিন্তু তিনি হাজিরা দেবেন কিনা, তা নিয়েই ছিল সংশয়৷
তবে এদিন নির্ধারিত সময়ের আগেই ইডি-র দফতরে পৌঁছে যান তৃণমূল সাংসদ৷ এর আগে নয়াদিল্লি টানা ৯ ঘন্টা জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেক। এমনকী তাঁর স্ত্রী রুজিরা সন্তান কোলে হাজিরা দিয়েছিলেন সিজিও কমপ্লেক্সে। সূত্রের খবর, অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি থেকে ইডির বিশেষ দল কলকাতায় এসে পৌঁছেছে৷
ইডির তলব পাওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’(এনসিআরবি)-র একটি পরিসংখ্যান তুলে টুইট করেছিলেন অভিষেক৷ ওই টুইটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করেন তিনি।অভিষেক লিখেছিলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে দু’টি কাজ রয়েছে।
প্রথমত, বাড়িতে গিয়ে ছেলেকে জাতীয়তাবাদ শেখানো এবং দ্বিতীয়ত, তাঁর মন্ত্রকের অধীনে পুলিশকে সাজানো। দিল্লিতে অপরাধের হার দেখার পর আমরা হতবাক। বাংলার শাসনব্যবস্থা থেকে ওঁর শিক্ষা নেওয়া উচিত।’