চলতি সপ্তাহের শুরুতে আচমকই হাইকোর্টের চত্বর জুড়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর টানা দু’দিন বিক্ষোভের পর অবশেষে অবরোধ উঠল কলকাতা হাই কোর্টে। তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের একাংশ বয়কট চালিয়ে যাচ্ছেন৷ কলকাতা হাইকোর্ট যা যা ঘটছে তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর এজলাস বয়কট করে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। হাইকোর্টে অশান্তির ঘটনায় বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
সেই রায়ের প্রেক্ষিতে বিচার করবে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ তৈরি হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট করেছিল বারের আইনজীবীদের অংশ। মূলত তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরাই এই বয়কট-প্রতিবাদের মূলে ছিলেন। তার জন্য গত সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্ট যথেষ্ট উত্তপ্ত ছিল। এখন বয়কট উঠে গেলেও তার আঁচ আছে এবং বিচারপতি মান্থার এজলাসে এখনও যাচ্ছে না সরকারি আইনজীবীরা।
বয়কটের জন্য আগেই সরব হন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। দাবি করা হয় যে, অন্য আইনজীবীদের এজলাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আদালত অবমাননা এবং স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণের আর্জি জানান হয়। সেই আবেদন মেনে নেন বিচারপতি মান্থা। আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি সারা রাজ্যের আইনজীবীরা কালো ব্যাচ পরে প্রতিবাদ জানাবেন বলেও দাবি করেন তিনি।