বৃষ্টি যেন কিছুতেই থামছেনা৷ গত বছরের মতো চলতি বছরেও ঝড়ের প্রকোপ বাড়তে পারে বাংলায়৷ ফের আবার দুর্যোগের মুখে পড়তে চলেছে বাংলা৷ ফের আছড়ে পড়তে চলেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়৷ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিবেগে পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পাড়ে সাইক্লোন৷ কতটা প্রভাব পড়বে বাংলায়?
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হবে৷ মূলত ইন্দোনেশিয়ার বান্দা উপকূলে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে ক্রমশই ভারত মহাসাগর এবং বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে। কয়েক দিনের মধ্যেই তা শক্তি বাড়িয়ে আছড়ে পড়বে দুই রাজ্যের উপকূলে৷ আর নিম্নচাপের ধাক্কাতেই পশ্চিমবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর৷
আবহবিদরা জানাচ্ছেন, ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার বেগে দুই রাজ্যের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়৷ এই ঘূর্ণিঝড়ে নাম দেওয়া হয়েছে সিত্রাং। নামকরণ করেছে থাইল্যান্ড । তবে কোন তারিখে এবং কখন এই ঘূর্ণিঝড় বঙ্গভূমিতে আছড়ে পড়বে, তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানায়নি মৌসম ভবন। তবে পূর্বাভাস, ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপাসাগরে প্রবেশের পরেই তা শক্তিবৃদ্ধি করবে৷ বাংলাদেশ উপকূলেও চলবে ঝড়ের তাণ্ডব৷
এদিকে, শীত বিদায় নিতেই চড়চড়িয়ে বাড়তে শুরু করেছে উষ্ঠতার পারদ৷ সকালে এবং রাতে ততটা গরম অনুভূত না হলেও, দিনে বেশ ভালোই গরম থাকছে৷ আগামী দু’-তিন দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস৷ সেই সঙ্গে আলিপুর আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের উপরের দিকে এবং সিকিমের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে৷ সেই ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি পূবালী অক্ষরেখা আরব সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে, এর কোনও প্রভাব বাংলার উপর পড়বে না। এর জন্য রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই পূর্বাভাস৷