তৃতীয় বার বর্তমান রাজ্য সরকারের জয়ের পর সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একধিক প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়৷ যার মধ্যে কন্যাশ্রী হলো অন্যতম৷ কন্যাশ্রীর পর কিশোরদের নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করল রাজ্য সরকার৷
শৈশব থেকে কৈশরে পা দেওয়া বয়সের সেই সন্ধিক্ষণে ছেলেদের শারীরিক ও মানসিক নানান পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যা সব সময় তারা প্রকাশ করতে পারে না৷ বয়ঃসন্ধক্ষণে কিশোররা যাতে নিঃসঙ্কোচে তাদের মনের কথা শেয়ার করতে পারে, তার জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে স্কুলে স্কুলে তৈরি হচ্ছে ‘বন্ধুমহল’ ৷
এই কর্মসূচির আওতায় স্কুলগুলিতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ক্লাব গঠন করা হবে। সেখানে একজন প্রধান এবং এক জন উপপ্রধান থাকবেন। তারাই ছোটদের বিভিন্ন বিষয়ে কিশোরদের সচেতন করবে৷
ইতিমধ্যেই পাইলট প্রকল্প হিসাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনের তরফ জেলার বিভিন্ন স্কুলে ‘বন্ধু মহল’ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ক্লাবের সদস্য এবং পড়ুয়াদের মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন অবস্থার দেখভাল করার পাশাপাশি শেখানো হবে নিয়মানুবর্তিতা ও আচরণবিধি৷ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ছাত্রদের বয়ঃসন্ধিকালীন নানান সমস্যাকে৷