মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে শেষের পথে দীর্ঘ দিনের লড়াই

তবে কি শেষ হতে চলেছে দীর্ঘদিনের লড়াই? গতকাল ছিল খুশির ইদ। পালিত হয়েছে রাজ্য জুড়ে। আর এই শুভ দিনের সকালেই নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের কাছে আসে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন। চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি দেন নিয়োগের আশ্বাস৷ আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে আশ্বাস মেলার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা আন্দোলনরত কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। দুপুরে দফতরের দু’জন আধিকারিক ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে অবস্থান-বিক্ষোভে বসা চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

কী নিয়ে আলোচনা হল তাহলে? জানা গিয়েছে, কতজন চাকরি পাননি, আন্দোলনরত মোট কতজন চাকরি প্রার্থী আছেন এইসব সহ আরও কয়েকটি বিষয়ে তাদের মধ্যে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনা হয়। এরপরে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন বলে জানা গিয়েছে। তবে বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র না মেলায় আরও এক দফায় আলোচনার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার তাদের বিকাশ ভবনে যেতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে গত ২৬ দিন ধরে বিক্ষোভরত প্রায় ১ হাজার ২০০ জন চাকরিপ্রার্থী মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী আজ সকালে ইদের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরে তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে তিনি নিজে বিষয়টি  দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন।

মেধা তালিকায় নাম রয়েছে৷ অথচ মেলেনি নিয়োগ৷ এই অভিযোগেই দীর্ঘ দিন ধরে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তি ও মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন চালাচ্ছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। ইদের সকালেও অন্যথা হয়নি। একই মাঝে আচমকাই ডিসি সাউথের কাছে ফোন আসে একটি৷ ফোনের ওপারে খোদ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন৷ আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। শোনেন তাঁদের দাবি-দাওয়া। সবকিছু শোনার পর দ্রুত তাঁদের নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।