সদ্য মাত্রই করোনা সংক্ৰমণমুক্ত হয়েছেন তিনি। করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন হাসপাতাল থেকে। জল্পনা চলছিল এর মাঝেই কি বলব পরবে ইডির। অবশেষে মিলল স্বস্তি। ইডি আধিকারিকদের কাছ থেকে সামান্য সময় চেয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়ার সেই আবেদনই মঞ্জুর করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জানা যাচ্ছে আগামী চার সপ্তাহ কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে ইডির দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে না। চার সপ্তাহ বাদে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা।
ইডি আধিকারিকদের কাছ থেকে সময় চেয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী একটি চিঠিতে জানান, সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁর শরীর এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ নয়। এমনকি তাঁর ফুসফুসেও এখনও সংক্রমণ রয়েছে। এই সমস্ত শারীরিক জটিলতা কাটিয়ে উঠে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে কিছুটা সময় আরও লাগবে তাঁর। সেই কথা মাথায় রেখেই আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য তাঁকে হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার পরেই তিনি ইডি দপ্তরে হাজিরা দেবেন। জানা যাচ্ছে সোনিয়ার কাছ থেকে এই চিঠি পাওয়ার পরেই ইডির শীর্ষ আধিকারিকরা নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠক করেন। আর সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে কংগ্রেস সভানেত্রীর হাজিরার সময় চার সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হোক।
উল্লেখ্য গতকাল অর্থাৎ ২৩ জুন বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়ার প্রথম হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। যদিও এর আগে গত ৯ জুন সোনিয়া গান্ধী এবং ছেলে রাহুল গান্ধী দুজনকে একসঙ্গেই ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ পাঠানো হয়। তবে তার আগেই করোনা আক্রান্ত হন কংগ্রেস সভানেত্রী। এরপর ২৩ জুন নতুন করে সোনিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু এর মধ্যেই কংগ্রেস সভানেত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত সপ্তাহের শুক্রবার সবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি এবং এই মুহূর্তে চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়িতে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন। এরপরেই তাঁর হাজিরার দিন চার সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ইডি আধিকারিকরা।