পশ্চিমবঙ্গের দূর্গা পূজা মানেই বাংলার ঐতিহ্য৷ সম্প্রতি বাংলার দুর্গাপুজাকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো৷ সেই সম্মানকে উজ্জাপন করতে নেতাজি ইন্ডোরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, এই স্বীকৃতি উপলক্ষ্যে কলকাতায় শোভাযাত্রা হবে। কবে, কোথায়, সবই আজ স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। মমতা জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১ টায় শ্যামবাজার থেকে শোভাযাত্রা শুরু হবে। দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে পথে নামবে কলকাতা, এমনই জানান তিনি। একই সঙ্গে গোটা রাজ্যের মানুষকে অনুরোধ করেন যাতে সকলে উলুধ্বনি দিয়ে, প্রার্থনা করে শোভাযাত্রাকে সমর্থন জানান। রেড রোডে হবে পুজো কার্নিভালও, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
বিশ্বের সেরা সংস্কৃতি বিভাগের তালিকায় স্থান পেয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের৷ গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় স্থান পাওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ডিসেম্বরে এসেছে সেই স্বীকৃতি। ‘হেরিটেজ’ তকমা পায় কলকাতার দুর্গোৎসব৷ ১৩ থেকে ১৮ ডিসেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয় ইন্টারগভর্নমেন্ট কমিটির ষষ্ঠদশ অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই ইউনেস্কো-র ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’-র তালিকায় স্থান পায় কলকাতার দুর্গাপুজো।
উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে ভারতের একাধিক রাজ্যের সংস্কৃতি ও উৎসব নিয়ে একটি সমীক্ষা শুরু করেছিল ইউনেস্কো। সেই সমীক্ষায় আগেই স্থান পয়েছে কেরলের মুদিয়েট্টু লোকনৃত্য৷ সম্প্রতি বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণে উঠে আসে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজোরর কথা৷ দেশ নতুন কী কী কৃতিত্ব অর্জন করেছে বলতে গিয়েই বাঙালির দুর্গাপুজোর ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার কথা উল্লেখ করেন কোবিন্দ। বাংলার স্বীকৃতিতে যে গোটা ভারত গর্বিত, তা প্রমাণ হয়ে যায় রাষ্ট্রপতির ভাষণেই৷ সেই নিয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলা সহ গোটা দেশই।