পুজোর মুখে আজ থেকে রাজ্যে ৭২ ঘন্টা ট্রাক ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই ভালো প্রভাব উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতেও। জলপাইগুড়ি গোশালা ট্রাক স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে একাধিক ট্রাক।এদিন সকালের দিকে রাস্তায় ট্রাক চলাচল অনেকটাই কম। পুলিশি হেনস্থা থেকে শুরু করে মিথ্যে কেসের অভিযোগ সহ সাত দফা দাবি নিয়ে ধর্মঘটের ডাক ট্রাক মালিক সংগঠনের। দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ট্রাক বন্ধের হুশিয়ারি।
দু – এক নয়, সাত দফা দাবি নিয়ে আজ বুধবার, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে রাজ্য ট্রাক মালিক সংগঠন। এই তিন দিনই কোনো লরি – ট্রাক চলবে না। মঙ্গলবার জি ২৪ ঘন্টার এর মুখোমুখি হয়ে রাজ্য ট্রাক মালিক সংগঠনের তরফে এই নিয়ে সরাসরি সরকার পক্ষকে হুশিয়ারি দেন। সংগঠনের সদস্যদের তার বক্তব্য, একাধিক ভাবে ট্রাক মালিকদের হেনস্থা করছে পুলিশ। মিথ্যে কেস দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। তাই ওভারলোডিং বন্ধ, পুলিশি অত্যাচার বন্ধ, মিথ্যা কেস দেওয়া চলবে না, অত্যাচার বন্ধ, আন্ডারলোড থেকে টাকা নেওয়া চলবে না, গাড়ি বাতিল ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর, আন্তর্জাতিক পরিবহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী লোকদের অত্যাচার বন্ধ করার দাবি জানান।
হুশিয়ারি সুরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এও বলেছেন তিনি যে, যদি সরকার তাদের দাবি না মানে সেক্ষেত্রে বৃহত্তর আন্দোলন তথা অনির্দিষ্ট কালের জন্য ট্রাক বন্ধ করার কথা। ইতিমধ্যে ব্যবসা সহ পন্য পরিবহনের ক্ষেত্রে একাধিক পন্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে যায়, সেক্ষেত্রে ধর্মঘটের দিন ফুলবাড়ি এবং চ্যাংরাবান্ধা বাংলাদেশ যাওয়ার দুই সীমান্তেই লরি বন্ধ থাকবেন বলে জানা যায় । এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যে কিছুটা সমস্যা হবে তা ভালোমতোই জানেন ট্রাক সংগঠনের সদস্যরা। তাই সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্য ক্ষমা প্রার্থীও জানিয়েছেন তারা। সব মিলিয়ে পুজোর মুখে ধর্মঘটের প্রভাব বাজারে পড়তে পারে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।