যত সময় যাচ্ছে ততই প্রতিনিয়ত করোনা ভাইরাস তার প্রজাতি বদলাচ্ছে। করোনার ডেল্টা এবং ডেল্টা প্লাস প্রজাতিকে নিয়ে এতদিন নানা গবেষণা চলেছে। মনে করা হচ্ছিল এটাই ভাইরাসের সবথেকে মারাত্মক মিউটেশন। কিন্তু এখন আরও চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে ডেল্টা প্রজাতির নতুন মিউটেশন ‘AY.4.2’। এটিকে এখন সবথেকে ক্ষতিকর এবং সংক্রমক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর একে নিয়েই বাড়ছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। ব্রিটেনে প্রথম খোঁজ মিললেও এখন এই প্রজাতির হদিশ মিলেছে ভারতের একাধিক রাজ্যেও।
গত বছর থেকে চলতে থাকা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ গোটা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এখনও। যদিও আগের তুলনায় এখন পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে কারণ গোটা বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। কিন্তু এর মধ্যে এবার এই নয়া প্রজাতির করোনা ভাইরাস ঘুম উড়িয়েছে বিজ্ঞানী এবং গবেষক মহলের। ব্রিটেনে নতুন এই প্রজাতির খোঁজ মেলার পর চিন এবং রাশিয়াতেও এর হদিশ মিলেছে। চিনে তো আবার সংক্রমণ শুরু হওয়ায় ইতিমধ্যেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে, ভারতেও বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই প্রজাতি মেলায় চিন্তার শেষ নেই। ভারতে কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং মধ্যপ্রদেশে মিলেছে করোনা ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন, যে নতুন প্রজাতির উপর নজর রাখছে সরকার। ICMR এবং NCDC একত্রে কাজ করছে এই ব্যাপারে।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে কমপক্ষে ৭ জন ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতির আক্রান্ত হয়েছে। তবে সবথেকে চিন্তার বিষয়, যারা এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছে তারা সকলেই করোনার দুটি টিকা নিয়েছিল। তাই বোঝাই যাচ্ছে যে টিকাকরণ হওয়ার পরেও এই প্রজাতি মানুষকে আক্রান্ত করতে যথেষ্ট সক্ষম। এর আগে ভারতের ডেল্টা এবং ডেল্টা প্লাস ভাইরাস প্রতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এবার এদের থেকেও বেশি সংক্রামক ভাইরাসের হদিস মেলায় স্বাভাবিকভাবে উদ্বেগ আরো বেড়ে গেল। আরও ভয়ানক তথ্য, কোভিডের অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক হতে পারে নয়া এই প্রজাতি।