দীর্ঘ কুড়ি বছর পর আবার আফগানিস্তান দখল করেছে জেহাদী সংগঠন। এবার আবার একবার নতুন করে সরকার গঠন করতে চলেছে তালিবান। গোটা দেশ দখলের পর প্রথমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশ্বাস দিলেও তালিবান এবার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে দেশে চলবে জেহাদী। পাশাপাশি মন্ত্রিসভা গঠনের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে জেহাদী সংগঠন। তার মধ্যেই প্রকাশ্যে এল গুরুত্বপূ্র্ণ এক খবর। আফগানিস্তানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হচ্ছে এক কুখ্যাত জঙ্গি। আমেরিকার গুয়ানতানামো কারাগার ফেরত দোর্দণ্ডপ্রতাপ জঙ্গিকে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদে বসাচ্ছে তারা। ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তানের নতুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হচ্ছেন মোল্লা আবদুল কায়ুম জাকির। এই খবর উঠে আসার পরেই সারা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
মোল্লা আবদুল কায়ুম জাকির একজন কুখ্যাত তালিবান জঙ্গি। তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই জাকির। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালিবানি শাসনের পতনের পর মার্কিন সেনার হাতে গ্রেপ্তার হয় সে। এরপর তাকে সোজা পাঠানো হয় কিউবার গুয়ানতামো বে-তে। যা কিনা বিশ্বের নৃশংসতম কারাগার হিসেবে কুখ্যাত। দীর্ঘকাল মার্কিন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত বছরই এই কারাগার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন প্রশাসন। ভয়ংকরতম দুষ্কৃতী, জঙ্গিদের উপর চরম অত্যাচারের সাক্ষী এই কারাগার। তো মোল্লা আবদুল কায়ুম জাকিরের মতো হাই-প্রোফাইল জঙ্গিও ছিল গুয়ানতানামো কারাগারে। এরপর ২০০৭ সালে তাকে আফগান সরকারের হাতে তুলে দেয় আমেরিকা। কিন্তু দেশে ফিরে ফের তলেতলে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাতে থাকে জাকির। চলতি বছর আফগানিস্তান দখলে জঙ্গিবাহিনীকে দিকনির্দেশ করেছিল সে।
জানা গিয়েছে, এই কুখ্যাত মন্ত্রীকে তালিবানরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পদে বসাচ্ছে। যেহেতু টানা ছয় বছর কারাগারে বন্দি থাকার ফলে অনেক অত্যাচার সহ্য করে আরও কঠিন হয়ে দেশে ফিরেছে এই জঙ্গি। এহেন নেতাকেই দেশের প্রতিরক্ষার ভার দিয়েছে আজকের তালিবান বাহিনী। পাশাপাশি ঠিক করা হয়েছে আরও কয়েকজন মন্ত্রীকে। অভ্যন্তরীণ অর্থমন্ত্রী হতে পারে শীর্ষ জঙ্গি নেতারা। আগামী মাসেই দ্রুত মন্ত্রিসভা তৈরি করে পাকাপাকিভাবে আফগানিস্তানের সরকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চায় তালিবান বাহিনী।