বিগত এক বছর পর দু দিনের সফরে বাংলায় এসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দুদিনের ঠাসা কর্মসূচির মাঝে গতকাল রাতে দাদার বাড়িতে নৈশভোজ সেরেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সঙ্গে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ আরও চার বিজেপি নেতা। শাহী অভ্যর্থনার ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি৷ একটি অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখা গেল রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পাশে৷ ওই অনুষ্ঠান মঞ্চে সৌরভ বললেন, ‘‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার কাছের মানুষ৷’’
গতকাল অমিত শাহের নৈশভোজের আগে মহারাজ বলেছিলেন, দিদি যেভাবে বলেছেন সেভাবেই আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছি৷ তিনি এও বলেছিলেন, ‘‘জয় শাহ আমার সঙ্গে কাজ করে। তাঁর বাবা আমার বাড়িতে আসছেন। এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। উনি নিরামিষাশী, সেই ধরনের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।’’ শুক্রবার রাতে অমিত শাহের অভ্যর্থনায় কোনও খামতি রাখেননি প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক৷ তাঁদের অভ্যর্থনায় সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায় সৌরভ-জায়া ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে। কিন্তু, রাত পেরতোই সস্ত্রীক সৌরভ হাজির বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালের উদ্বোধনের অনুষ্ঠান৷ সেখানে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দুই পাশে বসেছিলেন সৌরভ এবং ডোনা। অনুষ্ঠান শেষে সৌরভপত্নীও বলেন, “দিদি তো অবশ্যই আমাদের কাছের।” তিনি এও জানান, শুক্রবার নৈশভোজে শাহের সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।
এদিনের অনুষ্ঠানে সৌরভ জানান, এই বেসরকারি হাসপাতালটির জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন এবং রাজ্যের তরফে সব রকমের সাহায্য মিলেছে। কিন্তু এরই মাঝে শনিবার সকালে সৌরভের বাসভবনে শাহের নৈশভোজ নিয়ে খোঁচা দেন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে ‘আলালের ঘরে দুলাল’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘আজকে যখন সে এক চরম বাঙালি বিদ্বেষী, বাংলা ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিরোধী, বাংলা ভাগের চক্রান্তকারী ব্যািক্তিকে আদর, আপ্যাায়ন করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ভুড়িভোজ করায়— সৌরভকে নয়, যাঁরা তাঁকে বাঙালির আইকন বলে ধেই ধেই নাচে, তাঁদের দেখে করুণা হয়।’