সময় খারাপ যাচ্ছে কংগ্রেসের। একদিকে করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত অন্যদিকে ইডির তলব। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে করোনায় সংক্রমিত হয়ে দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁর কোভিড পরবর্তী জটিলতা হয় এবং শ্বাসনালীতে ছত্রাকের সংক্রমণ, নাক দিয়ে রক্তপাত বের হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু চিন্তার এখন আর কোনও কারণ নেই। আজই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। এখন প্রশ্ন উঠেছে, তিনি ইডি দফতরে কবে হাজিরা দিতে যেতে পারবেন।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আগামী ২৩ জুন সোনিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। আগে চলতি মাসের আট তারিখ কংগ্রেস সভানেত্রীকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে ইডি। কিন্তু কোভিড সংক্রমণের কারণে সেই সময় ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি সোনিয়া। তবে এখন তলবের নির্ধারিত দিনের আগেই তিনি বাড়ি ফিরেছেন হাসপাতাল থেকে। তাই অনুমান, ২৩ তারিখ তিনি ইডি দফতরে যেতে পারেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন রবিবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোনিয়া গান্ধীকে দিল্লি গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জুন মাসের শুরুতেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায় এবং ঠিক তার একদিন পর করোনায় আক্রান্ত হন সোনিয়া গান্ধীর কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। এদিকে ইতিমধ্যেই সোমবার নিয়ে চার বার ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করে ফেলেছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। তবুও হয়তো তারা সন্তুষ্ট নয়। তাই আগামী সোমবার ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে। এই তলব নিয়ে লাগাতার বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছে কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই এই তলব হচ্ছে। এই নিয়ে রাজধানী বিগত কয়েক দিন ব্যাপক উত্তপ্ত হয়। পুলিশ মারধর করেছে বলেও অভিযোগ তোলা হয় ‘হাত’ কর্মীদের পক্ষ থেকে।