একবার দুইবার নয় পাঁচ বার হাজিরা এড়িয়ে তিনি৷ কিন্তু আর এরানো গেলো না৷ অবশেষে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলর। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে আসার কথা ছিল তাঁর। নির্ধারিত সময়ের আগেই সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে পৌঁছে যান তিনি। গাড়ির সামনে চালকের পাশের আসনে বসে সিবিআই দফতরে পৌঁছন অনুব্রত৷ তবে নিজাম প্যালেসে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি৷ এর পর সহায়কদের হাত ধরে নিজাম প্যালেসের সিঁড়ি বেয়ে সোজা উপরে উঠে যান তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা৷
গরু পাচার কাণ্ডে একাধিক প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন সিবিআই গোয়েন্দারা৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রশ্ন তৈরি রেখেছেন আধিকারিকরা৷ গতকালই অনুব্রত জানিয়েছিলেন আজ সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে তিনি নিজাম প্যালেসে আসবেন৷ সময়ের আগেই ৯ টা ৫০ মিনিটেই তিনি পৌঁছে যান৷ সিবিআই সূত্রে খবর, ১০-১৫ মিনিটে প্রথম তাঁকে বসিয়ে রাখা হবে৷ চা-জল দেওয়া হবে৷ এর পর শুরু হবে জিজ্ঞাসাবাদ৷ সিবিআই অফিসারা জানাচ্ছেন, গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে একাধিকবার অনুব্রত মণ্ডলের নাম উঠে এসেছে৷ বারবার তাঁকে তলব করা হয়েছে৷ তবে প্রতিবারই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন৷ গত মাসে অনুব্রত মণ্ডল সিবিআইকে চিঠি দিয়ে জানান, তাঁর বাড়িতে বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজি আছেন।
চিনার পার্কের বাড়িতে এসে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন৷ এর পর ২১ মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়ে নেন৷ তার আগেই আজ হাজিরা দিলেন সিবিআই দফতরে৷ আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য তাঁর কাছ থেকে জানতে চান সিবিআই-এর গোয়েন্দারা৷ সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচার কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে একটি ডায়েরি পাওয়া গিয়েছিল৷ সেখানে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম ছিল৷ এছাড়া এনামূল হকের বেশ কিছু আত্মীয় এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল৷ তাঁরা সিবিআই-এর সামনে অনুব্রত মণ্ডলের নাম উল্লেখ করেছেন৷ সেই সূত্র ধরেই তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়৷ সপ্তমবারের নোটিশে হাজিরা দিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি৷