জোর গতিতে চলছে আনিস কাণ্ডের তদন্ত৷ হাওড়ার ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুতে নয়া মোড়৷ ময়নাতদন্তের দ্বিতীয় রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ আনিসের মৃত্যু রহস্যের উপর থেকে সরল পর্দা৷ অটোপসি সার্জেন্টরা জানাচ্ছেন, আঘাতের ফলেই মৃত্যু হয়েছে আনিসের৷ ময়নাতদন্তে দেখা গিয়েছে, মাথার খুলির পিছনে গভীর ক্ষত রয়েছে৷ শরীরের একাধিক হাড় ভাঙা৷ আনিসের দেহ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্য ছিল তাঁকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে কেও ফেলে দিয়েছিল, নাকি দুর্ঘটনাবশত পড়ে গিয়েছিলেন সেটা নিশ্চিত হওয়া৷ সেই বিষয়টি অবশ্য চিকিৎসকদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ তবে এই বিষয়ে তাঁরা কিছু জানাননি৷
দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা আনিসের মাথার পিছনে গভীর ক্ষত ও শরীরের একাধিক হাড় ভাঙার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি ৯টি আঘাতের কথা জানিয়েছেন৷ যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খুলির পিছন দিক থেকে ডান দিকের কানের ওপর পর্যন্ত গভীর ক্ষত ছিল আনিসের শরীরে। এই বিষয়টি অবশ্য প্রথম ময়নাতদন্তেও উঠে এসেছিল। দুই নিতম্বে সমান্তরাল আঘাত রয়েছে৷ আঘাত রয়েছে আনিসের মেরুদণ্ডেও। ক্ষত রয়েছে ডান দিকের কপালেও৷ সেই ক্ষত থেকে রক্তক্ষরণও হয়েছিল৷ সেই চিহ্নও মিলেছে৷ খুলির বাঁ দিকের হাড় ভেঙে সেখান থেকে ঘিলু বেরিয়ে এসেছিল। বাঁ দিকের পাজরের দুই-একটি হাড় ভাঙা। বাম কাঁধেরও হাড়ও ভেঙে গিয়েছিল আনিসের৷ হাড় ভেঙেছিল বাম হাতের হাড়৷ আনিসের শরীরের বাম দিক ভীষণভাবে আহত হয়৷ প্রথম ময়নাতদন্তের পরও বিশেষজ্ঞরা মৃত্যুর কারণ সেভাবে উল্লেখ করেনি। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তেও সে কথা বলা হয়নি। অর্থাৎ আনিসকে কেউ ধাক্কা মেরেছিল নাকি তিনি পড়ে গিয়েছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।