শুরু হয়ে গেছে আসন্ন উপনির্বাচনে প্রচার৷ এই মুহূর্তে সব চেয়ে হাই ভোল্টেজ জায়গা ভবানীপুর৷ ভোট প্রচারের শেষ লগ্নে ধুন্ধুমার ভবানীপুরে৷ প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ৷ এদিন ভবানীপুরে যদুবাজারে দেবেন্দ্রনাথ রোডে দিলীপ ঘোষের প্রচার চলার সময় উত্তেজনা ছড়ায়৷ ভবানীপুরে পৌঁছতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা৷ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়৷ রীতিমতো হামলা চালিয়ে এক বিজেপি সমর্থকের মাথা ফাটিয়ে দেয় তৃণমূল সমর্থকরা৷ বন্দুক উঁচিয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় দিলীপ ঘোষের দেহ রক্ষীদের৷ অন্যদিকে রক্তাক্ত অবস্থাতেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মিছিল করেন বিজেপি কর্মী ভাবনারায়ণ সিংহ৷ তাঁকে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি যখন এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন ওঠে জয় বাংলা স্লোগান৷ রীতিমতো দিলীপ ঘোষকে ধাক্কা মারা হয়৷ পাল্টা জয় শ্রী রাম ধ্বনি তোলে বিজেপি৷
দিলীপ ঘোষ বলেন, বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে বেরিয়েছি, সেখানেও সুরক্ষা নেই৷ আমাদের কর্মীদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দিচ্ছে৷ আমাকে লাথি, গুঁতো মারা হয়েছে৷ কী ভাবে হবে নির্বাচন? কোথায় গণতন্ত্র? নির্বাচন কমিশনকে গোটা বিষয়টি জানানো হবে বলেও জানান দিলীপ বাবু৷ তাঁর কথায়, সবটাই আমরা জানাব৷ কিন্তু মানুষ এভাবে ভোট দেবে কী করে? অন্যদিকে, এক বিজেপি কর্মী বলেন, ভোটের প্রচারই যদি করতে না পারি, তাহলে ভোটে লোক বেরবে কী করে? ভোটার না বেরলে আমরা ভোট পাব কী করে? এ ভাবে গণতন্ত্র চলতে পারে না৷ এভাবে প্রচার আটকানো যায় না? এটা গণতান্ত্রিক অধিকার৷ সেই অধিকার কেড়ে নিচে চাইছে৷ তৃণমূল হারছে, এটা স্পষ্ট৷