কারোনা পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার দিকে মুখিয়ে আছে মানব জাতি৷ বিগত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে তান্ডব চালাচ্ছে করোনা সংক্রমণ৷ এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও শক্তিশালী ভ্যাকসিনের আশায় রয়েছে চিকিৎসা মহল৷ হায়দরাবাদি সংস্থা ভারত বায়োটেক তৈরি নাসাল ভ্যাকসিন গেম চেঞ্জার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ সেই সঙ্গে যাঁদের ইঞ্জেকশনে ভয়, তাঁদের কাছে এটি খুবই জনপ্রিয় হবে৷ সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভারত বায়োটেকের ইন-লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রযুক্তি এতে ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি। এই পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন নেওয়াও সহজ হবে৷ আর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও এই টিকা কার্যকর বলে দাবি করা হচ্ছে৷
মারণ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যেসব ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলি ইন্ট্রামাসকুলার৷ অর্থাৎ এগুলি পেশীর গভীরে পৌঁছে দেওয়া হয়। পদ্ধতি খুবই স্বাভাবিক৷ যার ফলে ওষুধ দ্রুত রক্তে মিশে যায়৷ কিন্তু নাসাল ভ্যাকসিনের ডোজ পেশীর মধ্যে না দিয়ে নাকের মধ্যে দিয়ে সরাসরি শ্বাসযন্ত্রে পৌঁছে যাবে৷ ইতিমধ্যেই ভারতের প্রথম নাসাল কোভিড ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্লিনিক্যাল পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে৷ ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া এই ছাড়পত্র দিয়েছি৷ এই টিকা নাকে স্প্রে করা হবে৷ এর ফলে ভ্যাকসিন সরাসরি ফুসফুস, নাক, গলা-সহ শ্বাসনালীতে পৌঁছবে।