আজ বুধবার শুরু হলো দেবী পক্ষের৷ আজ তর্পনের দিন৷ সকাল থেকেই ঘাটে ঘাটে চলছে তর্পণ৷ কিন্তু চোখে পড়ল না কোনও করোনা বিধি৷ উপচে পড়া ভিড়ে ঘেঁষাঘেষি করে দাঁড়িয়েই চলল পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তি কামনা৷ এই পরিস্থিতিতিতে চিন্তা বাড়ছে সবার৷ যদিও করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে পর রাজ্য প্রশাসন৷ ইতিমধ্যে প্রতিটি মণ্ডপে নো-এন্ট্রি ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ কিন্তু আজ সকালে যে চিত্র দেখা গেল তা রীতিমতো উদ্বেগের৷ নেই দূরত্ব বিধি৷ মুখে নেই মাস্ক৷ করোনা আবহে গত বছরই কলকাতা পুরসভার তরফে বলা হয়েছিল ন্যূনতম ৬ ফুট দূরত্ব রেখে তর্পণ করতে হবে৷ কিন্তু দেখা গেল না সেই সবের বালাই৷ বরং ধরা পড়ল অসচেতনতার চিত্র৷
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে এবছর পুজো কার্নিভাল বাতিল করেছে রাজ্য৷ পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে পুজো সারতে ১১ দফা নির্দেশিকা জারি কা হয়েছে নবান্নের তরফে। নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, মণ্ডপের প্রবেশ এবং প্রস্থানের পথ খোলামেলা রাখতে হবে। মণ্ডপে প্রবেশের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে। পুজো কমিটিগুলিকেও মণ্ডপে মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে৷ মণ্ডপে যথাযথ সামাজিক দুরত্ব ও করোনাবিধি মানা হচ্ছে কি না, তার উপর নজর রাখতে হবে৷ প্রয়োজনে নজরদারির জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা করতে হবে পুজো কমিটিগুলিকে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুজোর উদ্বোধন কিংবা বিসর্জনে জাঁকজমক করা যাবে না।